Monday, April 30, 2018

ফরিদপুর-চার যুদ্ধ হবে আর একবার

ফরিদপুর-চার
যুদ্ধ হবে আর একবার
***********************
প্রচলিত আছে যে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দাতা ও প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর সাহেবের আসল বাড়ী কুমিল্লা। তিনি কিভাবে ফরিদপুরের নাগরিক ও ভোটার হলেন তা'ব্যাখ্যা নাই দিলাম। বলতে চাই বিগত সুদীর্ঘ একবার ৫ বছর এবং এবারে একটানা ৯ বছর ক্ষমতা থাকা সত্বেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব ফরিদপুর-৪ আসনে এক ওড়া মাটিও কাটেন নি এবং এমন কোন নজির নেই যে তিনি গোটা আসনের কোথাও দুই টাকার উন্নয়ন করেছেন। এ কথা কারো মন গড়া গল্প নয়, এটা এলাকার সকল নৌকার ভোটারদের অভিযোগ। একটি বছরের ৩৬৫ দিনের মধ্যে জাফর উল্লাহ সাহেব জনগণকে ক'দিন দিয়েছেন। হিসেব করলেই আসল পরিসংখ্যান বেড়িয়ে আসবে।
ফলে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ভক্ত অনুরাগী নৌকার ভোটার রা একজন জাফর উল্লাহ বিকল্প প্রার্থী সন্ধানে ছুটে বেড়ায় এবং প্রার্থনা করে; হঠাত কোথা থেকে উদয় হল নিক্সন চৌধূরী, গর্জে উঠলো ভাঙ্গা নগরকান্দার চির বঞ্চিত অবহেলিত মানুষগুলো। বিকল্প নেতা না পেয়ে বিকল্প মার্কাই বেছে নিতে হল সাধারণ ভোটারদের। স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজে সফর করে, মানুষকে প্রতিশ্রুতি এবং উদাত্ত আহবান জানিয়েও মানুষের মন এই খন্দকার মোস্তাক আহমেদের জেলায় জন্ম নেয়া কুমিল্লার জাফর উল্লাহর দিকে আকৃষ্ট করতে পারেন নি। যা'ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত নির্বাচনের সব চেয়ে ভরাডুবি এবং লজ্জাজনক।
মানুষের রুচিবোধ চিন্তা চেতনা ইচ্ছে আকাংখা আশা ভরসার প্রতিফলন যার মাঝে দেখতে পায়;তাকেই নির্বাচিত করে। দুরন্ত দুর্বার বঙ্গবন্ধুর নাতনি নিক্সনের মাঝে মানুষ তার কিছুটা হলেও খুজে পেয়েছে। সাথে যোগ দিয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীশক্তি জামাত বি এন পি। ফলে নৌকার কিছু ভোট এবং বি এন পি জামাতের ভোট নিক্সনের বাক্সে পরার ফলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ধনকুবের কিপটে জাফর উল্লাহ'র ভরাডুবি হয়।

বিষয় সেটি নয়; বিষয় হচ্ছে সব জেলায়/উপজেলার বঙ্গবন্ধু নৌকা পাগল মানুষগুলো কিছু না পেয়েই ভোট দেয় এ কথা সঠিক নয়" বলে প্রমান করেছিল ভাঙ্গা সদরপুরের মানুষ। তারা তাদের নিজস্ব এলাকার গরীব কৃষক শ্রমিক জেলে তাতী কামার কুমার ধনিক বনিকের পাশে উক্ত এলাকায় জন্ম নেয়া কোন একজনের প্রত্যাশায় ছিল। তারা পেয়ে গিয়েছে। নিক্সন চৌধূরী পদ্মা সেতু টেন্ডারবাজীতে কত শ্ত কোটি টাকা মেরেছে এবং সে টাকায় ফরিদপুর-৪ আসনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। আমি এই "অর্থ লুন্ঠন এবং উন্নয়ন" দুটো শব্দকেই অভিনন্দন জানাই। টাকা চুরি করে যদি সে টাকা জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে ব্যয় করা হয়, তাহলে বলবো সকলেরই নিক্সন চৌধূরীর মত চোর হওয়া একান্ত অপরিহার্য ।
নিক্সনকে স্থানীয় মাস্তান দিয়ে হুমকি ধমকি দৌড়ানি পিটানি ভুয়া মামলা দিয়ে নেতা কর্মীদের হয়রানি ইত্যাদি করেও কাজী জাফর উল্লাহ সাহেব নিক্সন চৌধূরীর কিচ্ছু করত পারেন নি বরং নিক্সনের পিছনে টাকার জন্য নয়-উন্নয়ন এবং এই টগবগে যুবকের সাথে হাত মেলাতে মন প্রান খুলে নিজেদের সমস্যাদির কথা বলতে সারাক্ষন কাছে পায়; এটাই জনগণের সারা জীবনের চাহিদা ছিল-যেটা বয়োবৃদ্ধ ধনকুবের কিপটা অলস প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর উল্লাহ সাহেবের মধ্যে আদৌ তিল পরিমান পরিলক্ষিত হয়নি।
গত নির্বাচনে নিক্সন চৌধূরীর নিকট ভরাডুবির পর ইদানিং জাফর উল্লাহ সাহেব গ্রামে গ্রামে হাটে চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিক্সন চৌধূরীর মত মন মানসিকতা ও দৈহিক স্ববলতার অভাবে নিক্সনের ১০ ভাগ অভিনয়েও তিনি ডাউব্বা মেরেছেন।
এখানে আওয়ামী লীগ বা নৌকার বিরোধীতার প্রশ্ন নয়; এখানে প্রশ্ন আমরা আর কত জাতিরজনকের নামে, মুক্তিযুদ্ধের নামে, স্বাধীনতার নামে নৌকা প্রতীকের নামে কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবদের মত নবাবী মানদাতা আমলের পুরাতন কাসন্দ কাধে নিয়ে হাটবো?
শেখ হাসিনা তরুনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী। আগামী প্রজন্ম মহান স্বাধীনতার ধারক ও বাহক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির পারিবারিক বন্ধনকে আরো শক্তিশালী করে আওয়ামী লীগের লাল সবুজের ৪ তারকা খচিত পতাকা তুলে দিচ্ছেন। তাঁর বয়স হয়েছে। একদিন তিনিও চলে যাবেন-জাফর উল্লাহ সাহেবদেরকেও যেতে হবে-সেদিন কে ধরবে হাল, কে তুলবে পাল? সূতরাং দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর সোহাগ ও স্নেহ ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা নিক্সন চৌধূরীদের ক্ষমতায়নে আমার পূর্ণ সমর্থন রইলো। অচল পয়সা দিয়ে কিছু ক্রয় বিক্রয় করা যায় না, তেমনি অচল নেতা দিয়ে জনগণের উন্নয়ন ও মন জয় করা যায়না। এ লজিক যদি ভ্রান্ত না হয়ে থাকে তাহলে আগামী নির্বাচনে আমরা ফরিদপুর ৪ আসনে কুমিল্লা থেকে ভেসে আসা কাজী জাফর উল্লাহ সাহেবের পরিবর্তে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার কৃতি সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মহান স্বাধীনতার অন্যতম সফল সংগঠক মরহুম ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী দাদাভাইয়ের পুত্র ও হুইপ লিটন চৌধুরীর ছোট ভাই জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নাতি মোঃ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধূরীকে আমরা ২০১৮ এর নির্বাচনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চাই।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
মুক্তিযোদ্ধা মোকতেল হোসেন মুক্তি

Saturday, April 14, 2018

শুভ নববর্ষ ১৪২৫

শুভ নববর্ষ ১৪২৫ গতকাল আমার ৬৫তম জন্ম দিনে অসংখ্য ভক্ত অনুরাগী বন্ধু ভাই ভ্রাতা ভগ্নি ফেসবুক টুইটর ইয়াহু ওয়ার্ডপ্রেস লিংকড ইনষ্টগ্রাম গুগল ফ্লিকারে শুভেচ্ছা দিয়েছেন। ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ প্রদান করা সম্ভব ছিল না। সবাই ভালো থাকুন, সবাই সুস্থ্য থাকুন, সুন্দর থাকুন, সকলের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কাটুক আত্মীয় পরিজন বন্ধু বান্ধব মা বাবাকে নইয়ে নিশ্চিন্তে নিরুদ্বেগে শান্তিতে সুখে সমৃদ্ধিতে। সকলের জীবনের সকল কষ্ট বেদনা হতাশা ব্যর্থতার গ্লানি মুছে যাক বৈশাখী দক্ষিণা সমীরনের দমকা হাওয়ায়। ভরে উঠুক বাঙ্গালীর জীবনের প্রতিটি কানায় কানায় । হৃদয়ের রন্দ্রে রন্দ্রে বেজে উঠুক সাম্যের গান-আল ক্বোর'আন, গীতা , বাইবেল, ত্রিপিটক ও বিধাতার প্রতি আনুগত্য ও কৃতজ্ঞতার সমীহ শ্রদ্ধা ভক্তি একান্ত আত্মসমর্পণ। সুখে থাকুক গোপালগঞ্জের হতভাগা চির অভাগা চির বঞ্চিত লাঞ্ছিত শেখ লুতফর রহমানের সোনার ছেলে শেখ মুজিবের ১৬ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ; যে একটি মানুষ স্ত্রীপুত্র কন্যা মা বাবা ভাই বোন থেকে বঞ্ছিত হয়ে সারাটি জীবন এই বাঙ্গালীর জন্য দেশ থেকে দেশান্তরে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কখনো পায়ে হেটে কখনো নৌকায় আবার কখনো ভাংগা গাড়িতে চড়ে হতভাগা হতদরিদ্র্য চির লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত শোষিত দুখি বাঙ্গালীর খোজ নিতে গিয়ে নিজের জীবনের সকল সুখ শান্তি বিসর্জন দিয়েছিলেন বদ্ধ জেলখানায় বসেও যার বাঙ্গালীর চিন্তায় নিদ্রায় যেতে পারতেন না, সে সোনার দেশের সোনার ছেলে গোপালগঞ্জের শেখ মুজিবের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উদ্গত ভালোবাসায় সিক্ত বাংলাদেশ ও বাঙ্গালী জাতি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সমৃদ্ধশালী দেশ হয়ে উঠুক। বাঙ্গালী থাক মাছে ভাতে দুধে আমে মিষ্টিতে অনাদিকাল বৈশাখের ১ম দিনের প্রথম বৃষ্টির পবিত্র জল্ধারায় ধুয়ে মুছে নিষ্কলঙ্ক নিস্পাপ হয়ে যাক বাঙ্গালী জাতি।

SUPPORT AWAMI LEAGUE, VOTE NOUKA ONCE AGAIN

Friday, April 13, 2018

মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ


মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয় সমীপে মুক্তির খোলা চিঠিঃ

মহোদয়,
যথাযোগ্য মর্যাদা ও সন্মান পুরঃসর বিনীত নিবেদন এই যে, আমি জন্মসূত্রে একজন বাংলাদেশি জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। ইউনিক গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নূর আলীর ব্যক্তিগত সচিব থাকাকালীণ ২০০২ সালে জামাত বি এন পি জোট সরকারের অবৈধ আস্তানা "হাওয়া ভবনের" ভূয়া মামলা ও নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হই এবং মালদ্বীপে এসে একটি স্কুলে শিক্ষকতা শূরু করি।
আমার চির স্বভাবজনিত দুর্বিনীত প্রতিবাদী মানসিকতার কথা স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান সরকারের বহু নেতা/মন্ত্রীগণ অবহিত রয়েছেন। আওয়ামী লীগ অফিসে বঙ্গবন্ধুর গানের মুক্তি নামেই সর্বজনবিদিত।
আওয়ামী রক্ত তাই প্রবাসে এসেও নীরব থাকতে পারিনি; যে দেশে প্রবাসীদের রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ সে দেশে আমি মুক্তি প্রতিষ্ঠা করেছিলাম মালদ্বীপ আওয়ামী লীগ।
মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস ( সাবেক হাই কমিশন) এর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী হিসেবে বহু লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে।
এমন কি এতদবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জেনারেল আবেদীন, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল ফারুক, আব্দুস সোবহান গোলাপ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, জয়নাল হাজারী, শামীম ওসমান, জুনায়েদ আহমেদ পলক ও ডঃ দীপুমনিও অবহিত আছেন।
মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের অনেক অনুষ্ঠানেই বহু মন্ত্রী ও মান্যবর সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল সাহেবও যোগদান করেছিলেন । ভিডিও ও ছবি প্রমানবহন করে (ছবি সংযুক্ত )

মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০১৪ সালে ইস্কান্দার স্কুলে জাতীয় শোক দিবস পালনের আয়োজন করেছিলাম । সে অনুষ্ঠান করতে দেয়নি হেড অফ দি চ্যাঞ্চেরী হারুন অর রশিদ।

আমি মালদ্বীপের মহামান্য প্রেসিডেন্ট ডঃ ইয়ামীন মাওমুনের একটি অনুষ্ঠানে তাঁর সামনেই ছিলাম।

হঠাত একটি ফোন এলোঃ
*******************
ঃহ্যালো আমি হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী হারুন অর রশিদ বলছি;
ঃকে মুক্তি সাহেব বলছেন?
ঃজ্বি
ঃশুনেছি আপনি ১৫ই আগষ্ট পালন করছেন আপনার ইস্কান্দার স্কুলে?
ঃজ্বি আমার সব অনুষ্ঠান তো ইস্কান্দার স্কুলেই হয়ে থাকে।
ঃআপনি এ অনুষ্ঠান করতে পারবেন না; ঐ দিন হাই কমিশন থেকে অনুষ্ঠান করা হবে সূতরাং আপনার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে;
ঃআমি এ মুহূর্তে কথা বলতে পারছি না; আমি প্রেসিডেন্টের সামনে কাজেই পড়ে কথা বলছি;
ঃআপনি বুঝতে পারছেন তো যে হাই কমিশন আপনাকে কল করেছে?
******************
মালদ্বীপের রাজধানী মালে ইস্কান্দার স্কুলে আমি মুক্তি যে হলটিতে পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যান ও জনশক্তিমন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন দেরকে সংবর্ধনা দিয়েছি, সে হলেই আয়োজন করেছিলাম জাতীয় শোক দিবস ২০১৪।

সে অনুষ্ঠানের অপরাধেই আমার মালদ্বীপের সোনালী দিনগুলো ১৫ই আগস্টের চেয়েও ভয়াবহ করে তুলেছিল এই হারুন অর রশিদ, হেড অফ দি চ্যাঞ্ছেরী এবং সাবেক হাই কমিশনার রিয়ার এডমিরাল আওয়াল।
********
মালদ্বীপে আমার হাতে গড়া আওয়ামী লীগের ছেলেদের ভয় ভীতি দেখিয়ে দেশে পাঠিয়ে দিয়ে আমাকে পঙ্গু করে দেয়া হল। তারপরেও হারুন অর রশিদ সাহেবের খায়েশ মিটেনি। সে মালে অবস্থানরত তার পোষা দালাল আদম ব্যবসায়ী, গাঞ্জা ব্যবসায়ী, ডলার ব্যবসায়ীদের একটি গ্রুপ নিয়ে চলে এবং সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাট করে বেড়ায়। এখানে অতিরঞ্জিত কিছুই লিখছি না। প্রমান সহই দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রেরণ করেছি আমি তদন্ত চাই। অতি সম্প্রতি সে ঐ একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। আমাকে টেলিফোনে মারধর করার হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি মালদ্বীপ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

মালদ্বীপ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন হয়ে গেল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে বাংলাদেশ দূতাবাস গত ২১শে ফেব্রুয়ারি এবং স্বাধীনতা দিবসে একজন ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়া মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় কন্ঠশিল্পী ও মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মালদ্বীপ সরকারের জনপ্রিয় সঙ্গীত শিক্ষক (আমি নিজে ), একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মালদ্বীপে কর্মরত ৩৩ বছরের সিনিয়র ফিজিক্সের শিক্ষক আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মীর সাইফুল ইসলাম এবং আর একজন ২৫ বছর যাবত মালদ্বীপে শিক্ষকতায়রত গজল সঙ্গীত শিল্পী মালদ্বীপের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সর্বজনবিদিত শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম।

এই তিন জন শিক্ষকের কাউকেই মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মালদ্বীপস্থ দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেন নি। বিষয়টি মালদ্বীপের মন্ত্রণালয় ও প্রেসিডেন্ট হাউসের কর্মকর্তাদেরও নজরে এসেছে। এ দেশে বাংলাদেশী এই তিনজন শিক্ষকই অত্যন্ত দক্ষতার কারনে এবং বিশেষ করে শফিক ও আমি গানের কারনে প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে কোন মন্ত্রী, ধনিক ব্যবসায়ী, বর্ণাঢ্য বণিক শিল্পী ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার কেউ নেই যে আমাদের এই তিনজনকে না চিনেন বা না জানেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে স্বাধীনতা দিবসে আমন্ত্রণ না করার হেতু একটাই হতে পারে যে দেশ আজো স্বাধীন হয়নি অথবা এই দূতাবাস পাকিস্তানের অথবা এই দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার স্বপক্ষের কোন কর্মকর্তা কর্মচারী নেই।
মহান স্বাধীনতা দিবসে কেন আমাদের দূতাবাস নিমন্ত্রণ করেনি? আমরা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিভাগীয় মাননীয় মন্ত্রী হিসেবে আপনাকে অবহিত করলাম।
আমরা জাতীয় সম্পদ। আমাদেরকে জাতীয়ভাবেই অপমান করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। কারন জানতে চাই।

মহানুভব, পররাষ্ট্রনীতি ও কুটনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে খ্যাত আপনার সমগ্র জীবনের লব্ধ অভিজ্ঞতা আজ পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রশাসনিক জটিলতা সমস্যাদি সমাধান ও বিদেশের সাথে পারস্পরিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আপনার সততা শ্রম ও সফলতার সূত্র ধরেই আজ সুবিচারের প্রত্যাশায় আপনাকে অবহিত করলাম। যদি বাংলাদেশ সরকার মনে করে আমি বাঙ্গালী নই, বাংলাদেশী নই-আমার পাসপোর্ট বাংলাদেশ সরকার জব্ধ করতে পারে, আমার কোন আপত্তি নাই। কিন্ত এ অপমানের বোঝা নিয়ে বাঙ্গালী হিসেবে আর মালদ্বীপে পরিচয় দিতে চাইনা। প্রয়োজনে পাসপোর্ট পুড়িয়ে শরণার্থী হয়ে যাবো যেমনটি হয়েছিলাম ১৯৭১ সালে ভারতে আশ্রয় নিয়ে।
ভালো থাকুক দেশের মানুষ ভালো থাকুক শেখ মুজিবের নিরস্পেষিত নির্যাতিত লাঞ্ছিত বঞ্চিত অবহেলিত চির দুখি চির সংগ্রামী বাঙ্গালী জাতি।
আল্লাহ আপনার ভালো করুন;
দেশ আরো এগিয়ে যাক, আরো উন্নয়ন ঘটূক, উত্তরোত্তর বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ খ্যাত স্বীকৃতিকে ডিঙ্গিয়ে উন্নত দেশের তালিকায় লিপিবদ্ধ হোক;

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
আপনার একান্ত ভক্ত অনুরাগী
মোকতেল হোসেন মুক্তি
বীর মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কন্ঠশিল্পী
সিনিয়র সঙ্গীত শিক্ষক
ইস্কান্দার স্কুল মালে, মালদ্বীপ